পটুয়াখালীর গলাচিপায় দীর্ঘ ১৫ বছর পরে মরা খাল পুণঃ খননে ৪ হাজারের অধীক কৃষক উপকৃত হয়েছে।
১৯৮৮ সন থেকে পলিতে ভরাট হয়ে যাওয়া মরা খাল পুণঃ খনন করায় কৃষক পরিবারগুলোর মুখে ফুটেছে আনন্দের হাসি। উপজেলার চরবিশ্বাস ইউনিয়নে গত মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে এর কাজ শেষ হয়েছে। প্রায় ১৭ কিলোমিটার খালটি এলজিইডির আওতায় ক্ষুদ্র পানি ব্যবস্থাপনা বিভাগের অর্থায়নে ও উত্তর চরবিশ্বাস পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিমিটেডের বাস্তবায়নে পুণঃ খনন করা হয়।
এতে বন্যা ও বৃষ্টির অতিরিক্ত পানি নিস্কাশন এবং আমন ও বোরো ধান, তরমুজ, মরিচসহ বিভিন্ন রবি শস্য চাষে কৃষকরা বিশেষ সুবিধা পাবে। এছাড়াও কৃষকরা খালটিতে বিভিন্ন প্রকারের মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে নিজেদের প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে পারবে। সরেজমিন দেখা যায়, পুণঃ খাল খনন প্রকল্পে চরবিশ্বাস ইউনিয়নের ২, ৩, ৪, ৫, ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষকরা ব্যাপক লাভবান হবেন। এই ইউনিয়নে আন্নির খাল আট দশমিক দুই, মদন হাওলাদার বাড়ির খাল দুই দশমিক চার পাঁচ, চর আগস্তির খাল ছয় দশমিক দুই, মোট ষোল দশমিক আট পাঁচ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে ও ষাট ফুট প্রস্থের পনের ফুট গভীর খাল খনন করা হয়েছে।
পূর্ব চর আগস্তি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুল আলম ও স্থানীয় কৃষক মাওলানা মইনুল ইসলাম, আবদুর রাজ্জাক আকন, নাসির উদ্দিন বলেন, ‘বর্ষা মৌসুমে পানি নিস্কাশন না হওয়ায় বীজতলা ও আমন ধান নষ্ট হয়ে যেত এবং রবি মৌসুমে পানির অভাবে বোরো ধান, তরমুজসহ বিভিন্ন ফসলের চাষাবাদ ব্যাহত হত।
এখন খাল খনন হওয়ায় আমাদের চাষাবাদে কোন প্রকার ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন বাবুল মুন্সি বলেন, ‘১৯৮৮ সনের পরে খালগুলোতে আস্তে আস্তে পলি পরে ভরাট হয়ে যাওয়ায় কৃষকদের চাষাবাদে ব্যাপক সমস্যা হচ্ছিল। খাল খনন করার পরে আশা করি এখন কৃষকদের আর কোন সমস্যা হবেনা।গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী (এলজিইডি) জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, চরবিশ্বাস ইউনিয়নে প্রায় সতের কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে ৩টি খাল পুণঃ খননের কাজ শেষ হয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে এক কোটি সাতাশি লাখ টাকা।